"যে ব্যক্তি একজন বিধবা বা দরিদ্রের প্রতি সহানুভূতি দেখায় সে একজন মুজাহিদের সমতুল্য, একজন যোদ্ধা যে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, অথবা এমন একজন যে সারা রাত নামায পড়ে এবং সারাদিন রোজা রাখে।" [সহীহ আল-বুখারী] ভলিউম ৭, অধ্যায় ৬৪।
মাওলানা খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশন সর্বদা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মানুষের সেবা করে থাকে। এটি একটি বেসরকারী, অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা অভাবী মানুষের জীবনকে উন্নত করতে কাজ করে। মাওলানা খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশন বরগুনার হাজারবিঘা গ্রামে অবস্থিত। আমরা বরগুনা এলাকার হতদরিদ্র মানুষের জীবন উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি । আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ এর মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করে থাকি। এবং সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সহ এতিমদের জন্য একটি নিরাপদ বাসস্থান এবং খাবার এবং শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য হ'ল দরিদ্র মানুষদের উন্নত জীবন যাত্রার মান সরবরাহ করা।
আমাদের লক্ষ্য
মাওলানা খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশন গরীব, দুঃখী মানুষের জীবন উন্নীত করনে সহায়তা করে এবং সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি, এবং বিশেষ করে শিক্ষার উপর বেশি প্রধান্য দেই এবং সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করি।
আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা
খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশন এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখে যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি মানসম্পন্ন শিক্ষা, একটি বাড়ি এবং তাদের প্রয়োজনীয় সকল উপাদান পাবে। আমরা বিশ্বাস করি যদি আমরা সবাই একসাথে কাজ করি তাহলে একটি সুবিধা বঞ্চিত সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব ।
আমদের উদ্দেশ্য
খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশনে, আমরা সামাজিক সকল প্রতিবন্ধকতা সত্যেও সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করে যাচ্ছি। একদা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন-
"ও 'আয়েশা! কোনো অভাবী মানুষকে কখনোই আপনার দরজা থেকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। ও 'আয়েশা! গরীবকে ভালোবাসো; তাদেরকে আপনার নিকটবর্তী করুন এবং আল্লাহ আপনাকে কিয়ামতের দিন তাঁর নিকটবর্তী করবেন।” (রহমান)
ইসলামের পথ অনুসরণ করে, আমরা প্রত্যেকের দরজায় পৌঁছাতে চাই এবং যাদের আমাদের প্রয়োজন তাদের স্বাগতম জানাতে চাই। আপনাদের অনুদানে আমরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা এমন একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলতে চাই যেখানে সবাই সমানভাবে বসবাস করবে। আমাদের উদ্দেশ্য এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলা যেখানে মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। যেখানে প্রতিটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, একটি নিরাপদ বাড়ি পাবে এবং সেই সাথে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা ও নিশ্চিত হবে।
আমদের কেন অনুদান দিবেন?
আপনার দান ছোট হলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবেনা। বরং কম ভাগ্যবানদের সাহায্য করতে অস্বীকার করা একটি বিশাল লজ্জা। (নাহজুল বালাগা থেকে ইমাম আলী)
যারা মাওলানা খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, অনুগ্রহ করে আপনার অনুদান নিয়ে লজ্জাবোধ করবেন না। আমরা আপনাকে আমাদেরকে দান করতে উৎসাহিত করি, তা যে পরিমাণই হোক না কেন। ছোট বা বড় আমাদের কাছে অতি সম্মানের। আপনার সামান্য অবদান আমাদের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা একসাথে সমাজ পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। আপনার অল্প দান আমাদের চেষ্টাকে সফলতার শিখরে পৌছে দিবে ইনশাল্লাহ!
- আপনার ছোট্ট অনুদানে আমরা কিছু এতিম, গরীব এবং বয়স্কদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারবো।
- আপনার অনুদানে একজন এতিমের আবাস্থল, রিজিকের ব্যবস্থা,শিক্ষা এবং চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা নিশিচত হবে।
আপনি হয়তো একা সমাজটাকে বদলাতে পারবেন না। তবে আপনার ক্ষুদ্র অনুদানে আমরা সবাই একসাথে সমাজটাকে পরিবর্তন করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
আবূ মাসউদ (রাঃ) রাবী আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এটা কি নবী (সাঃ) থেকে এসেছে? তিনি বললেন, (হ্যাঁ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশে। তিনি বলেনঃ কোন মুসলমান যখন সওয়াবের আশায় তার পরিবারের জন্য ব্যয় করে, তখন তা তার সদকা বলে গণ্য হয়।
-- সহীহ বুখারীঃ ৫৩৫১
দান করতে দেরী করবেন না। আজই আমাদের ফাউন্ডেশনে আপনার দানের অংশটি পাঠিয়ে দিন।